নিজের নামে একটি সিম নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার সকালে ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয়
দেশ। এজন্য আমি গর্বিত।”
জয় সকালে মন্ত্রণালয়ে
পৌঁছালে প্রতিমন্ত্রী তারানা
হালিম তাকে স্বাগত জানান। এরপর মন্ত্রণালয়,
নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও
বিভিন্ন সরকারি কোম্পানির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত
বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টা।
শুরুতেই জয়ের নামে
টেলিটকের একটি সিম নিবন্ধন
করা হয়। তিনি আঙ্গুলের ছাপ দিলে টেলিটকের সার্ভারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চলে আসে। তা দেখে কর্মকর্তারা তার আইডি সম্পর্কে
নিশ্চিত হন।
এরপর জয়কে টেলিটকের
একটি সিম হস্তান্তর করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী। তারানা
হালিম এ সময় বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তি
উপদেষ্টার নম্বরে ১৬ সংখ্যার আধিক্য রয়েছে। কারণ এটা আমাদের বিজয়ের সংখ্যা।”ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের
পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জয় বলেন,
“আমার ইচ্ছা ছিল,
স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কিছু করার। “আমি
শুধু পরামর্শ দিয়েছি, বুদ্ধি
দিয়েছি। বাস্তবায়ন করেছেন আপনারা। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ।” আগামী এক নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে
গ্রাহকরা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার
কেয়ার থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। ১৬
ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক
পদ্ধতিতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করবে অপারেটররা।
ভুয়া পরিচয়ে
অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায়
সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর
মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের
প্রক্রিয়া শুরু হয়।এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপর প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করে
দেখা গেছে, এর
মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে
মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি সিম।একটি ‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম
তোলার ঘটনাও ধরা পড়ে। এছাড়া আরো
তিনটি এনআইডির বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬টি, ১১ হাজার ৩২৮টি ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিম নিবন্ধন
হয়েছে বলেও যাচাইয়ে ধরা পড়ে।এরপরই সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে
বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের ঘোষণা আসে।
বর্তমানে বাংলাদেশে
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকসহ মোট ৬টি অপারেটর রয়েছে।নিয়ন্ত্রক সংস্থা
বিটিআরসির হিসাবে গত অগাস্টের শেষ নাগাদ দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩
কোটি ছাড়িয়েছে; ইন্টারনেট
সেবা নিচ্ছেন সোয়া পাঁচ কোটি গ্রাহক।অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, মন্ত্রণালয় ও সরকারি টেলিকম কোম্পানির
শীর্ষ কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর
উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন
উপস্থিত ছিলেন।
Post A Comment:
0 comments: